৬৮ বর্ষ উনিশ সংখ্যা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
সংবাদ
চুঁচুড়ায় আর ওয়াই এফের সমাবেশ
গত ২০ সেপ্ঢেম্বর বিকল্প কর্মসংস্থানের, লকডাউনে কাজ হারানো মানুষের কাজের দাবিতে চুঁচুডা ঘডির মোডে আর য়াই এফ চুঁচুডা লোকাল কমিটির ডাকে যুব সমাবেশ সংগঠিত হয়৷ আর য়াই এফ রাজ্য সম্পাদক কম. রাজীব ব্যানার্জী সমাবেশে বলেন যে, অতিমারিকে ব্যবহার করে দুনিয়া জুডে সংকটগ্রস্ত পুঁজিবাদ সাধারণ মানুষের পর আক্রমণ হানছে৷ মানুষের সর্বনাশে পুঁজিবাদের পৌষমাস৷ তাই যখন লকডাউনে কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাচ্ছে, তখন ভারতের শিল্পগোষ্ঠীগুলির অনেকেরই আয় বেডেছে৷ পুঁজিবাদ আজ গভীর সঙ্কটে৷ অতিমারির আগেই এই সঙ্কট বেডে চলেছে৷ কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাডছে৷ অতিমারির সুযোগে সে তাই বাঁচতে মরিয়া৷ এই সুযোগে নয়া উদারনীতির সংস্্কারের কাজ দ্রুত করতে চাইছে৷ বেসরকারিকরণ আর গতিলাভ করেছে৷ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে কর্মসূচিগুলি প্রতিরোধের মুখে পডত, সেগুলিই এই সুযোগে সরকার করে নিচ্ছে৷ কাজের সুযোগ ক্রমশ কমছে৷
তিনি আর বলেন, আজকের পুঁজি নিবিড শিল্প লগ্নি পুঁজি নির্ভর অর্থনীতি কর্মসংস্থান সষ্টি করতে পারে না৷ বরং বেকারের সংখ্যা, স্থায়ী কর্মীর বদলে অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা বাডে৷ জীবিকার নিশ্চয়তার বদলে ছাঁটাইয়ের অবাধ অধিকার পুঁজিপতিদের দেয়া হয়৷ তাই আর য়াই এফ বিকল্প উন্নয়নের কথা বলে৷ যে সামাজিক উন্নয়নে কর্মসংস্থান সষ্টি হয়৷ বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে আর য়াই এফ রাজ্যজুডে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে৷ পাশাপাশি চলছে আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা৷ বিভিন্ন এলাকায় কষি নির্ভর, ক্ষুদ্র শিল্প গডে তোলার সম্ভাবনা নিয়ে যুব কর্মীরা সমীক্ষা করছেন৷ যার মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সষ্টির মডেল সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে৷ বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবিতে তিনি দুর্বার যুব আন্দোলন গডে তোলার আহ্বান জানান৷
আর এস পি ঔগলী জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কম. কিশোর সিং বলেন লকডাউনে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বাডছে৷ কারখানায় সকলকে কাজে নেয়া হচ্ছে না৷ মজুরি ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে না৷ মালিকদের স্বার্থে কেন্দ্র রাজ্য সরকার একের পর এক জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে৷
আর য়াই এফ ঔগলী জেলা সম্পাদক কম. বিপ্ল্ব মজুমদার বলেন যে, যুব সমাজ আজ গভীর সঙ্কটে৷ কাজের নিশ্চয়তার বদলে কর্মরত মানুষদের ছাঁটাই করা হচ্ছে৷ দুই সরকারই যুব সমাজকে প্রতারিত করছে৷ তাদের দৈনিক অধপতন ঘটাচ্ছে৷ বিজেপি তণমূল দুই দলই রাজ্যের সংস্্কতিকে কলুষিত করছে৷ তণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের নেতা করেই বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতার রাজনীতি করছে৷ দুই দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই৷
কম. শেখ শাজাহান কম. মইনুল হক কেন্দ্র রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন৷ আর এস পি জেলা সম্পাদক কম. মন্ময় সেনগুপ্ত অতিমারির সুযোগে কীভাবে পুঁজির স্বার্থে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন তার বিবরণ দেন৷ শ্রম আইন সংশোধন, কষি বিল, শিক্ষানীতি বেসরকারিকরণের জন্য নেয়া সরকারি কর্মসূচিগুলির ব্যাখ্যা করে বলেন যে, পুঁজিবাদের সঙ্কট সাধারণ মানুষের পর চাপানো হচ্ছে৷ ফলে কর্মসংস্থান সষ্টির বদলে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বাডছে৷ জেলার আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি বিকল্প কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাগুলির উল্লেখ করেন৷
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আর য়াই এফ জেলা সভাপতি কম. অনিরুদ্ধ দাস৷ তিনি বর্তমানে কীভাবে বেকার সমস্যা বাডছে তার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেন৷ তিনি পুঁজির স্বার্থে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলির উল্লেখ করে সংগঠনের কর্মসূচিগুলি ব্যাখ্যা করেন৷ সমাবেশ চলাকালীন যুবকর্মীরা স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন৷ প্রায় দুশো জন এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন৷ অঞ্চলের বঔ সাধারণ মানুষ উৎসাহসহ সভায় অংশগ্রহণ করেন৷